২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ / ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি / রাত ৯:৩৭

আজ চৈত্রসংক্রান্তি

চৈত্রসংক্রান্তি বা চৈত্র মাসের শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল)। চৈত্র বঙ্গাব্দ ১৪২৯ এর শেষ দিন। এদিন সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে সব না পাওয়া, গ্লানি ও হতাশার করুণ অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটবে। আগামীকাল পয়লা বৈশাখ, বাংলা ১৪৩০ বর্ষের নতুন দিন।

আবহমান বাংলার চিরায়িত বিভিন্ন ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্রসংক্রান্তি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্রসংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। মনে করা হয়, চৈত্রসংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পয়লা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্রসংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় উৎসব।

এবারও নানা আয়োজনে চৈত্রসংক্রান্তি উদযাপন করবে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষ।

শিল্পকলা একাডেমি, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান, চারুকলা অনুষদ, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ও ছায়ানটে থাকছে চৈত্রসংক্রান্তি বা বাংলা পুরনো বর্ষকে বিদায় জানানোর নানা আয়োজন। নিয়মিত আয়োজনের অংশ হিসেবে চ্যানেল আই ‘গান দিয়ে শুরু’ অনুষ্ঠানে সরাসরি দেখানো হবে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব। নাচ, গান, আবৃত্তি ও নাটকসহ নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনে সাজানো থাকছে চৈত্রসংক্রান্তির এবারের আয়োজন। শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, চারুকলা অনুষদ, ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবর, হাতিরঝিল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও রমনা উদ্যানসহ গোটা রাজধানীতেই দেখা যাবে চৈত্রসংক্রান্তির উল্লাস। 

এছাড়াও নানা লোকজ মেলার আয়োজন করা হয় এদিন। বছর বিদায়ের উৎসব পালন করেন ব্যবসায়ীরাও। শুচি-শুদ্ধ হয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও নতুন করে সাজিয়ে তোলেন। আগের পুরনো সব জঞ্জাল পরিষ্কার করেন। পুরনো সব হিসাব চুকিয়ে নতুন হালখাতা খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। নতুন বছরের প্রথম দিনে হালখাতা খোলা হয়। 

এছাড়াও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বাংলা বছরের এই দিনটিকে পুণ্য দিন বলে মনে করেন। স্নান, দান, ব্রত ও উপবাসের মধ্যদিয়ে অন্যরকমভাবে চৈত্রসংক্রান্তি পালন করেন তারা। পুরনো বছরের সব জরাজীর্ণতা মুছে ফেলে কাল বাঙালি মিলিত হবেন পয়লা বৈশাখের সার্বজনীন উৎসবে।