২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি / রাত ৪:৩৫

অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেনের সংবেদনশীল তথ্য পাচার: দোষীদের ধরতে তদন্ত কমিটি

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন লিমিটেড লভ্যাংশ ঘোষণার আগেই মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আত্মীয়-স্বজন এবং প্লেসমেন্টধারীদের কাছে পাচার এবং অস্বাভাবিক হারে কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

কোম্পানটির পরিচালনা পরিষদ এবং কোম্পানির কর্মকর্তাদের মধ্যে কারা মূল্য সংবেদনশীল তথ্য পাচার করেছে প্রাথমিক অবস্থায় তার কিছু প্রমাণ মিলেছে সংস্থারটির কাছে। তবে আরও তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি প্রকৃত দোষীদের খুঁজে রেব করতে দুই সদস্যসের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি)।

দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটির প্রধান করা হয়েছে সংস্থাটির পরিচালক শেখ মাহবুবুর রহমানকে। আর কমিটির রাখা হয়েছে সহকারী পরিচালক ওয়ারিসুল হাসান রিফাতকে।

আজ সোমবার (৯ নভেম্বর) কমিশনের সহকারী পরিচালক নান্নু ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, এই কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার দর বৃদ্ধিতে ইনসাইডার ট্রেডিংসহ অন্যান্য কারণ খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে।

গত ২৫ অক্টোবর লেনদেনে শুরুর পর থেকেই অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন লিমিটেডের শেয়ার দর দিনদিন বাড়তেই থাকে। ১০ টাকা মূল্যের এই কোম্পানির শেয়ারের দাম ১১ কার্যদিবসে বেড়েছে ৫০ টাকা ৭০ পয়সা অর্থাৎ ৫০৭ শতাংশ। এর মধ্যে শেষ সাত কার্যদিবসে দাম বেড়েছে ২৯ টাকা ৯০ পয়সা। এই সময়ে কোম্পানির পরিচালনা পরিষদে রয়েছেন এমন ব্যক্তির স্বজন এবং কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এমন একাধিক ইস্যু ম্যানেজার কোম্পানির যোগসাজসে শেয়ারের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসইসির একাধিক কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ২ শতাংশ নগদ এবং ৮ শতাংশ বোনাস। সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮৭ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ২৫ পয়সা।