২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি / সকাল ১১:৩০

একদিনেই বজ্রপাতে ১৯ জনের প্রাণহানি

দেশের ১১ জেলো জেলায় একদিনে বজ্রপাতে চার কিশোরসহ ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ময়মনসিংহের গাংগাইলে কয়েকজন কিশোর বাড়ির পাশের মাঠে বৃষ্টির মধ্যে খেলছিল। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও একজন। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। ময়মনসিংহের দড়িকুষ্টিয়ায় মাঠে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে দুইজন নিহত হয়, ধোবাউড়ায় ঘোঘড়া বিলে মাছ ধরার সময় প্রাণ যায় একজনের।  

এছাড়া সয়দাবাদে বজ্রপাতে প্রাণ গেছে রেল সেতু প্রকল্পের এক নিরাপত্তাকর্মীর। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের পুলিশা ও রেহাইচন্দনীতে দুইজন এবং নাগরপুরে একজন নিহত হয়েছেন।  

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বজ্রপাতে নাদিরা বেগম (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম টুলু এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বৃষ্টির সময় মাঠে গরু আনতে গিয়েছিলেন নাদিরা বেগম। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এদিকে মোহনপুর উপজেলায় ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মোহনপুর থানা ওসি তৌহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। 

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বজ্রপাতে ইসমত আরা (৪০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের ভাগ্নে তরিকুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় বৃষ্টি শুরু হলে পাতা কামুরি পুকুর থেকে হাঁস আনতে যান মামি। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঝলসে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলায় মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে রহিম জোয়াদ্দার (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গার থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বজ্রপাতে সোবহান হোসেন নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ফুলবাড়িয়া ৬ নং ওয়ার্ডের মজিদচালা ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, সোবহান হোসেন শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশ থেকে গরু আনতে যান। এ সময় বজ্রপাতে ওই কৃষকের মৃত্যু হয়।

বজ্রপাতে নাটোরের বাগাতিপাড়ার বাঁশবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের দর্শন বিভাগের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। বাঁশবাড়িয়া কলেজের অধ্যক্ষ সাবিহা সুলতানা জানান, আতাউর রহমান তাঁর কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি দুপুরে নিজ বাড়ির পানির লাইনে সমস্যা হওয়ায় তা দেখতে ছাদে যান। তখনই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। ছাদ থেকে ফিরতে দেরি দেখে তার স্ত্রীও ছাদে যান। তিনি গিয়ে দেখেন আতাউর পড়ে আছেন। স্ত্রীর চিৎকারে লোকজন এসে তাকে পুঠিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সিরাজগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর সিকিউরিটি গার্ডসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন দুজন।

শুক্রবার দুপুরের দিকে সদর উপজেলার সায়দাবাদ ইউনিয়নের সায়দাবাদ শিল্পপার্ক এলাকায় জাহাঙ্গীর আলম খানের ছেলে নাসির উদ্দিন মারা যান। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যমুনার চরাঞ্চলের বর্ণি এলাকায় দরবেশ আলী মুন্সীর ছেলে আবদুর রাজ্জাক মুন্সী মারা যান। এছাড়া দূর্গা চরন (৫২) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।