২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি / বিকাল ৪:১৬

ঢাকায় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন শুরু ৮ এপ্রিল

বাণিজ্য, বিনিয়োগ, খনিজ সম্পদ, পর্যটন, আইসিটি, জলবায়ু এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ ৮ এপ্রিল দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন।

বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা এই বিষয়গুলোই আলোচনার মাধ্যমে ফোকাস করার চেষ্টা করব।’

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের একটি ‘স্থায়ী সমাধান’ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবার সহযোগিতা চাওয়া হবে।

বাণিজ্য সম্পর্কিত ইস্যুতে তিনি বলেন, ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে যা অপরিবর্তিত রয়েছে।

ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক।

এবারের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।

শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনটি সফলভাবে আয়োজন হয়েছিল বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

এবারের শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘বৈশ্বিক রূপান্তরের জন্য অংশীদারিত্ব: যুব সম্প্রদায় ও প্রযুক্তি শক্তির মুক্তি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবারের শীর্ষ সম্মেলনে বর্তমান ডি-৮ চেয়ার তুরস্ক, বাংলাদেশকে ডি-৮ চেয়ারের দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।

তিনি বলেন, ‘আগামী দুই বছর ডি-৮ এর চেয়ারের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নের অভাবনীয় সাফল্যগাঁথা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হবে।’

দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক সভা হিসেবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আগামী ৭ এপ্রিল ১৯-তম ডি-৮ মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবে। ৫-৬ এপ্রিল ৪৩তম ডি-৮ কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র : ইউএনবি