২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি / ভোর ৫:২৫

নির্ধারিত সময়ে বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে অনিশ্চয়তা

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজধানীর উপকণ্ঠে টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত নির্ঘণ্ট অনুয়ায়ী দুই পর্বের এই ইজতেমা আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি শুরু হওয়ার কথা। তবে করোনা মহামারির কারণে এখনো এ বিষয়ে সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এতে আয়োজক কমিটি তাদের প্রস্তুতি নিতে পারছে না। সরকার তাদেরকে ইজতেমার ব্যাপারে নিরুত্সাহিত করছে। করোনা মহামারি থাকলে ইজতেমা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সাদপন্থি জিম্মাদার মনিরুজ্জামান মনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করি, স্বল্প পরিসরে হলেও ইজতেমা করার অনুমতি পাব। তবে জানুয়ারির নির্ধারিত সময়ে ইজতেমা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ওলামা শুরার পক্ষে আয়োজক কমিটির মুরুব্বি ডা. সাহাবুদ্দিন বলেন, এবারের ইজতেমা হবে কি না, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।

এ ব্যাপারে জিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) ইলতুিমস বলেন, সরকারি কোনো নির্দেশনা না পেলে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে করোনা মহামারি থাকলে ইজতেমা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

বিশ্ব ইজতেমা মাঠের জিম্মাদার ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ হান্নান বলেন, বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে কি হবে না, সেটা নিশ্চিত নয়। বহুদেশের সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট এখনো চালু হয়নি। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। দেশের ভেতরেও কোথাও কোনো ধরনের বড় সমাবেশ হচ্ছে না। বড় ধরনের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে সরকারের। সে হিসেবে আমরা দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিশ্চিত করে কোনো কিছু বলতে পারছি না।

তিনি বলেন, আর গতবছর আমাদের ঘোষিত ইজতেমার প্রথম পর্বের তারিখ ছিল ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি ২০২১। দ্বিতীয় পর্ব ছিল ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি ২০২১। যদি ততদিন পর্যন্ত পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে যায়, সরকার ইজতেমা করার অনুমতি দেয় তাহলে আমরা ইজতেমার আয়োজন করব। তিনি বলেন, সরকার যদি অনুমতি দেয় তবে অন্তত: ১৫ দিন প্রয়োজন হবে ইজতেমার মাঠ তৈরি করতে