২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি / রাত ৮:৫০

নৌকায় ভোট না দিলে কবরস্থান-মসজিদ সব বন্ধ’

নৌকায় ভোট না দিলে কবরস্থানে কবর দিতে দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম। 

সোমবার (২ নভেম্বর) রাতে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মনির মার্কেট এলাকায় নিজের প্রচার অফিসের উদ্বোধন করতে গিয়ে  নৌকায় ভোট না দেওয়ার পরিণতি সম্পর্কে হুশিয়ারি দেন।

শাহ আলম বলেন, যারা যারা নৌকায় ভোট দিবে না তাদের চিহ্নিত করা হবে। তাদেরকে কবরস্থানে কবর দিতে দেওয়া হবেনা। এটা আমার কবরস্থান। সোজা কথা আমার কবরস্থানে তাদেরকে কবর দিতে দেওয়া হবে না। তাদেরকে চৌধুরী পাড়া নিয়ে কবর দিতে হবে। এমনকি তাদের মসজিদেও নামাজ পড়তে দেয়া হবেনা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে শাহ আলমকে বলতে শোনা যায়, ‘কী অইবা? চিহ্নিত অইবা। হবরস্থান চৌধুরীপাড়া অইব দে। আইত ন পারিবা। আর হবরস্থানত আই হবর দিত ন দিয়্যুম। হবরস্থান আঁর, আঁই দিত ন দিয়্যুম এডে। (ভোট না দিলে) কী হবে? চিহ্নিত হবে। কবরস্থান চৌধুরীপাড়ায় হবে। এখানে আসতে পারবে না। আর এখানকার কবরস্থানে কবর দিতে দেব না। কবরস্থান আমার। এখানে আমি কাউকে কবর দিতে দেব না।)

শাহ আলম আরও বলেন, ‌’সোজা হতা, বাংলা হতা। চৌধুরীপাড়াত জনগুই পড়িব লাশ-ইবা। মসজিদত আই না পারিবা। আর বেগ্গুন ঐক্যবদ্ধ। এই পাঁচজন, আটজন, দশ জন, বেগ্গিন বন্ধ অই যাইব। চিহ্নিত গইজ্যুম, সমস্ত কিছু বন্ধ অই যাইব। (সোজা কথা, বাংলা কথা। চৌধুরীপাড়ায় এই লাশটাকে চলে যেতে হবে। মসজিদেও আসতে পারবে না। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। এই পাঁচ, আট, দশজনের সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হবে। সবাইকে চিহ্নিত করে রাখা হবে। সবকিছু বন্ধ হয়ে যাবে।)

এ সময় উখিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও কোটবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবু ছিদ্দিকসহ এলাকার মুরব্বী ও নৌকার কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে শাহ আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা যায়নি। বিষয়টি নজরে আনা হলে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাহাদত হোসেন বলেন, এমন একটি ভিডিও আমাদের নজরে এসেছে। তবে, এটা খন্ডিত। পুরো বক্তব্য রয়েছে এমন রেকর্ড তল্লাশী করা হচ্ছে। তা হাতে আসলে পুরো শুনে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইত্তেফাক/এসআই