১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি / বিকাল ৫:৫৮

বিদায়ী সপ্তাহে পতন হলেও লেনদেন ও মূলধন বেড়েছে

আগের সপ্তাহে উত্থান হলেও বিদায়ী সপ্তাহ পতনে শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারে। সপ্তাহটিতে সব সূচক কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। একই সঙ্গে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা পৌনে ৯ শত কোটি টাকা মূলধন ফিরে পেয়েছে।


জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে উভয় শেয়ারবাজার মিলে বিনিয়োগকারীরা ৮৮২ কোটি ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মূলধন ফিরেছে। এর মধ্যে ডিএসইতে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরু আগে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৪১ কোটি ২২ লাখ ৭৭ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৫ কোটি ৩৮ লাখ ৯০ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বিনিয়োগকারীরা ৪৩৪ কোটি ১৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা বা ০.১০ শতাংশ মূলধন ফিরে পেয়েছে।


আর সিএসইতে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরু আগে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২৯ হাজার ৯৮৩ কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিব লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৪৩১ কোটি ৬৮ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইর বিনিয়োগকারীরা ৪৪৮ কোটি ৬২ লাখ ২০ টাকা বা ০.১৩ শতাংশ মূলধন ফিরে পেয়েছে।


বিদায়ী সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪ হাজার ৫৫৬ কোটি ৪৪ লাখ ১৯ হাজার ৪৪৭ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৩৩৩ কোটি ৯৮ লাখ ৮৭ হাজার ১৯৮ টাকা বা ৭.৯১ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ২২২ কোটি ৪৫ লাখ ৩২ হাজার ২৪৯ টাকার।


ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৯১১ কোটি ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ৮৮৯ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৮৪৪ কোটি ৪৯ লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৬৬ কোটি ৭৯ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪০ টাকা বেশি হয়েছে।


সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৭.০৯ পয়েন্ট বা ০.৭৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯০৫.০৪ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩.০৩ পয়েন্ট বা ০.২৭ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৪.০৫ পয়েন্ট বা ০.৮১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১১৭.৪৪ পয়েন্টে এবং ১৭১১.৬০ পয়েন্টে।


বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬১টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৩টির বা ২৮.৫৩ শতাংশের, কমেছে ১৮৮টির বা ৫২.০৭ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭০টির বা ১৯.৩৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।


অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটি ৭৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭৪৯ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৮০ কোটি ৭৩ লাখ ২৮ হাজার ৮২৪ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ২৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫১ হাজার ৭৫ টাকা বা ১৬.৫৯ শতাংশ কমেছে।


সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২০.৪৩ পয়েন্ট বা ০.৮৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৭.৮৭ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৬৫.৮৮ পয়েন্ট বা ০.৭৭ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৯১.৯৬ পয়েন্ট বা ০.৭৯ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৭.৪৩ পয়েন্ট বা ০.৭৩ শতাংশ এবং সিএসআই ১.২৯ পয়েন্ট বা ০.১৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮ হাজার ৪৭০.৫৮ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৪৭০.৬১ পয়েন্ট, ১০১৮.৫০ পয়েন্ট এবং ৯১২.২৯ পয়েন্টে।


সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯০টির বা ২৮.৯৩ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৬২টির বা ৫২.০৯ শতাংশের কমেছে এবং ৫৯টির বা ১৯.৯৭ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।