২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি / সকাল ১০:৫৫

 মিয়ানমারে বাড়িঘর ছাড়ছে মানুষ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ধীরে ধীরে উপকূলীয় এলাকার দিকে ধেয়ে আসছে। মোখার তাণ্ডব থেকে বাঁচতে মিয়ানমারে বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটছেন হাজার হাজার মানুষ। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতী নিউজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার থেকেই মিয়ানমারের উপকূলীয় বিভিন্ন শহর ও গ্রাম থেকে অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিতে আসছেন লোকজন। পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ রাখাইন এবং তার সংলগ্ন আয়রাবতী অঞ্চলের বাসিন্দাদের আশ্রয় নেওয়ার হার সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে বলে জানানো হয়।

বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারত তিন দেশের আবহওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এখনও বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড় মোখা রোববার বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের কিয়ুকফিউ শহরের উপকূলে আছড়ে পড়বে এবং সে সময় ঝড় উপদ্রুত অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

উল্লেখ্য,এর আগে মিয়ানমারে সবচেয়ে প্রলঙ্কারী ও প্রাণঘাতী যে ঘূর্ণিঝড়টি দেখেছিল সেটির নাম ‘নার্গিস’। ২০০৮ সালের দোসরা মে দিবাগত রাতে রাখাইনের উপকূলে আছড়ে পড়া সেই ঘূর্ণিঝরড়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন অনেক মানুষ। মিয়ানমারের ইতিহাসে এর আগে এই মাত্রার ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের রেকর্ড নেই।