২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি / বিকাল ৫:৩৯

সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৬০১১ হজযাত্রী

চলতি বছর এ পর্যন্ত (১১ জুন) ৬ হাজার ১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২ হাজার ৮৫৯ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ৩ হাজার ১৫২ জন।

হজ সম্পর্কিত প্রতিদিনের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইনস, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।

হেল্পডেস্কের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, শনিবার পর্যন্ত সৌদি আরবে মোট হজ ফ্লাইট গেছে ১৫টি। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ৯টি, সৌদি এয়ারলাইন্স পরিচালিত ৪টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত দুটি ফ্লাইট রয়েছে।

এবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইন ছাড়াও হজযাত্রী পরিবহন করছে সৌদি আরবের এয়ারলাইন ফ্লাইনাস। ১০ জুন পর্যন্ত সৌদি আরবে বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইট গিয়েছে ১১টি। এরমধ্যে বিমানের সাতটি, সৌদি এয়ারলাইন্সের দুইটি, ফ্লাইনাসের একটি। এসব ফ্লাইটে সরকারি ব্যবস্থাপনার ২ হাজার ৪৪৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ১ হাজার ৫৭৫ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। হজের জন্য এখন পর্যন্ত সৌদি আরব ২১ দশমিক ৮৩ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা দিয়েছে।

এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৪ হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জনসহ সর্বমোট ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গমনের সুযোগ পাচ্ছেন। এবার হজের ব্যয়ও বেড়েছে বিগত বছরের চেয়ে অনেক বেশি। এ বছর সরকারিভাবে দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার সর্বনিম্ন প্যাকেজ ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

অন্য প্যাকেজে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা খরচ হবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য সাধারণ প্যাকেজ মূল্য ৪ লাখ ৬৩ হাজার৭৪৪ টাকা নির্ধারণ করে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। পরে আবারও হজের উভয় প্যাকেজের জন্য ব্যয় ৫৯ হাজার টাকা করে বাড়ানো হয়।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট গত ৫ জুন শুরু হয়েছে। সৌদি আরবে যাত্রার শেষ ফ্লাইট ৩ জুলাই। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ১৪ জুলাই। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ৪ আগস্ট।

এবার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত ৩৫৯টি হজ এজেন্সির মাধ্যমে হজ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।