১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ৭ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি / রাত ১২:৪১

স্বামীকে চেতনানাশক খাইয়ে উধাও নববধূ

বিয়ে হয়েছে এক সপ্তাহ পেরোয়নি। এরই মধ্যে বরকে চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে বেহুঁশ করে নিজের বাবার বাড়ি থেকে পালিয়েছেন নববধূ। সাথে নিয়ে গেছেন নগদ টাকাসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র। আর স্বামী রয়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার হাসর গ্রামের নববিবাহিত সাজ্জাত হোসেনের (৩০) নববধূ শারমিন আক্তার (২১) উধাও হবার এ ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাতে।

এ ব্যাপারে সাজ্জাতের মা রৌশন আরা বেগম চাটখিল থানায় বুধবার বিকেলে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাজ্জাতের সাথে গত শুক্রবার (০৮ অক্টোবর) চাটখিল উপজেলার বানসা গ্রামের সফিউল্লা বেপারী বাড়ির আবদুল জলিলের মেয়ে শারমিন আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর গত মঙ্গলবার সাজ্জাত তার স্ত্রী শারমিনকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান। সেখানে স্ত্রী শারমিন রাতে সাজ্জাতকে খাবারের সাথে চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে পরিবারের সবার অজান্তে উধাও হয়ে যান।

পালানোর সময় শারমিন ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৫০ হাজার টাকা ও বিদেশি ১৫ হাজার রিয়ালসহ (বাংলাদেশী মুদ্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা) মোট ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যান।

অভিযোগে সাজ্জাতের মা আরো বলেন, তিনি সকালে সংবাদ পেয়ে সাজ্জাতের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তার ছেলেকে অজ্ঞান অবস্থায় পান। পরে সাজ্জাতকে উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে সাজ্জাত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এই বিষয়ে জানতে শারমিনের বাবা আবদুল জলিলকে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার বড় মেয়ে রুমি ফোন রিসিভ করেন। বোন শারমিনের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা স্বীকার করে তিনি বলেন, কোথায় বা কার সাথে পালিয়ে গেছে তা আমাদের জানা নেই।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।