১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি / বিকাল ৫:২৯

১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ৪৮ টাকা

ন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি এবং ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে পরপর তিন মাস বাড়ল এলপিজির দাম। এবার প্রতি কেজি এলপিজির দাম ১১৬ টাকা ৮৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১১৯ টাকা ৯৪ পয়সা করা হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নতুন এই দাম ঘোষণা করেছে।

এতে প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ৩৯১ টাকা থেকে ৪৮ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৪৩৯ টাকা করা হয়েছে। নতুন নির্ধারিত দাম গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে। সংবাদ সম্মেলনে কমিশন চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সচিব আবু সায়িদ, সদস্য মকবুল-ই ইলাহী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সৌদি সিপি অনুসারে ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম বেড়েছে। প্রোপেন ও বিউটেনের দাম প্রতি টন যথাক্রমে ৮৯৫ থেকে বেড়ে ৯৪০ এবং ৯২০ থেকে বেড়ে ৯৬০ ডলারে উঠেছে। প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় এপ্রিলের জন্য এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে মার্চের জন্য প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ২৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৩৯১ টাকা করা হয়। তার আগের মাসেও দাম বাড়ানো হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে প্রতি কেজি এলপিজি ৯৮ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০৩ টাকা ৩৪ পয়সা করেছিল কমিশন। ওই সময় ১২ কেজির দাম এক হাজার ১৭৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ২৪০ টাকা করা হয়।

প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। এর প্রভাবে জ্বালানি তেল, এলএনজি ও এলপিজির দাম বেড়েই যাচ্ছে। সেটারই প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত (রেটিকুলেটেড) এলপিজির দামও বাড়ানো হয়েছে। প্রতি কেজি ১১২ টাকা ৬৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১১৬ টাকা ৭০ পয়সা করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাড়ানো হয়েছে পরিবহনে ব্যবহƒত এলপি গ্যাসের দামও, যা অটোগ্যাস নামে প্রচলিত। এপ্রিলের জন্য অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৬৪ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬৭ টাকা দুই পয়সা হয়েছে। লিটারে বেড়েছে প্রায় দুই টাকা ২৪ পয়সা। সাড়ে পাঁচ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত সব সিলিন্ডারের দামই বাড়ানো হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম বৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন এবং মূসকের হার বেড়ে যাওয়ায় এলপিজির দাম বেড়েছে।