২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি / দুপুর ২:১৯

কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরের শেষদিনে আজ কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় স্ত্রী জেৎসুন পেমাসহ ১৪ জন সফরসঙ্গী নিয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণের পর সড়ক পথে দুপুর সাড়ে ১২টায় ভুটানের রাজার কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

এ সময় তিনি ধরলা নদীর তীরবর্তী কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানের জন্য নির্ধারিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন। দুপুর দেড়টায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের জায়গা পরিদর্শন শেষে সড়ক পথে সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে ভুটানের রাজার নিজ দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

সফরসূচি থেকে জানা গেছে, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশ সফরে ঢাকায় পৌঁছান। ঢাকায় অবস্থানকালে কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ তিনটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজা ওয়াংচুক ঢাকা থেকে বিমানে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। সেখান থেকে সড়কপথে কুড়িগ্রাম যাবেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের যৌথ উদ্যোগে প্রস্তাবিত

ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’-এর জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করবেন। এরপর তিনি জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর পথে ভারত হয়ে ভুটান ফিরে যাবেন।

জেলার বিশিষ্টজনরা বলছেন, ভুটানের রাজার কুড়িগ্রাম সফর বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। তার সফর জেলার আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক বিকাশে এক মাইলফলক সৃষ্টি করবে। যৌথ এই অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে কুড়িগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জোন হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। দরিদ্রতম জেলার তকমা উঠে গিয়ে মানুষের জীবনমানের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে।

কুড়িগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আব্দুল আজিজ মিয়া বলেন, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে কুড়িগ্রামে বেকারত্বের দুঃখ ঘুচে যাবে। বাইরে থেকে যদি ইনভেস্টমেন্ট হয়, বায়াররা আসেন তাহলে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। ব্যাপক প্রচার ও প্রসার লাভ করলে এখানে মাল্টিপল ডেভলপমেন্ট হবে।’

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সাইদুল আরীফ জানান, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত জায়গায় ১৫ মিনিট অবস্থান করবেন ভুটানের রাজা। তারপর সড়ক পথে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে ভুটানে ফিরে যাবেন তিনি। রাজার ভ্রমণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।