৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি / সকাল ১১:২৫

প্রসঙ্গ ‘কারিগর’ ম্যাগাজিন’র গৌরবময় ৫০ বছর, লেখক সম্মেলন ও সম্মাননা প্রদানঃ

দিনটি ছিল ২০ মার্চ ২০২৩। পত্রিকাটি গৌরবময় ৫০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে প্রথম লেখক সম্মেলন ও সম্মাননা প্রদান করে। সারা বাংলাদেশ থেকে ৪০ জন লেখক দিনব্যপী এই সম্মেলনে অংশ নেন। দুই জনকে মরণোত্তরসহ মোট ৮ জনকে কারিগর ক্রেষ্ট ও কাশ্মিরী শাল চাদর প্রদান করে। অংশ নেয়া বাকী লেখকরা পান স্মারক উপহার ‘জ্ঞানের ভান্ডার’ হিসেবে একটি করে বই। দুই পর্বে অনুষ্ঠানটি উপভোগ্য ছিল। আইডিইবি’র নিজস্ব ভবনের লেভেল-৮ সেমিনার হলের এই সম্মেলনের প্রথম পর্বে, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক- বিশেষ অতিথি হিসেবে নিজ বক্তব্য পেশ করেন। এবং গল্পের ছলে লেখকদের অনুপ্রাণিত করেন। দ্বিতীয় পর্বের প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি মন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিশেষ অতিথি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সাবেক উপাচার্য ঢাবি, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা। অনুষ্ঠানের প্রাণময় মুহূর্ত ছিল সবার সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত ও মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদদের স্বরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন। সর্বপ্রথম কোরআন তেলাওয়াতের সুরও সবাইকে আকুল করেছে। দুই পর্বেই ছিলে স্বাগত বক্তব্য, সূচনা বক্তব্য ও কারিগর’র আগামীর পথচলাকে ঘিরে লেখকদের বক্তব্য ও পুরস্কারপ্রাপ্তদের অনুভূতি প্রকাশ। প্রধান ও বিশেষ অতিথিবৃন্দদেরও কারিগর পুষ্পার্ঘ্য ও উপহার প্রদান করে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব সাইফুল আলম ( সংম্পাদক দৈনিক যুগান্তর) বলেন, ‘‘মার্চ মাস আমাদের জাতীয় গুরুত্ব বহন করে। এই মাসের ৩ টি তারিখই উল্লেখযোগ্য। আর ৭ মার্চ তো আমাদের শোককে শক্তিতেই পরিণত করে। লেখকদের জন্য কারিগরকে তিনি মননের জায়গার সাথে তুলনা করেন। একটি কলমই পারে সবার চেতনা জাগ্রত করতে। যা কখনও বিলীণ হয় না। ঠিক কলমিলতার মতো। শুকনো মৌসুমেও মরে না, থাকে জীবিত, ভরা বর্ষায় ঠিকই সে প্রাণবন্ত ও সতেজ হয়ে ওঠে। গল্পের ভেতর বলেন, সত্যেন্দ্রনাথ দত্তও ১২ বছর লেখালেখি বন্ধ রেখেছিলেন। কারণ হিসেবে এই মহান কবি বলেছেন, যা লেখব সবই হয়ত বলা হয়ে গেছে, লেখা হয়ে গেছে…কিন্তু আজ লেখকদের হাত বিস্তৃত। বিশ্ব যাদের হাতের মুঠোয়। তিনি অভিভাবকদের পরামর্শ দেন। সন্তানকে শুধু জিপিএ ফাইভ, ও লেভেল, এ লেভেল এর জন্য গড়ে তুললেই হবে না, ওদের কারিগরি চেতানায় তৈরি করতে হবে। দেশে প্রচুর মাদ্রাসা আছে, হচ্ছে, সেখানেও এই কারিগরী জ্ঞানকে সন্নিবেশিত করার কোন বিকল্প নেই। কারিগরের জন্য তিনি পাঠক ফোরাম গঠনের পরামর্শ দেন। কেননা, একসময়ের দেয়ালিকা, লিটল ম্যাগাজিন, শিশু সংগঠন গুলো আজ যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। আমাদের এগুলোকেও বাঁচাতে হবে। সে কারণে গণমানুষের রাষ্ট্র দরকার। আমরা ৫০ বছরেও সুস্থ রাজনীতির চর্চা করতে পারিনি। ৩ টি শিল্প বিপ্লব পেরিয়ে ৪র্থ শিল্প বিল্পব চলছে বিশ্বে। আমরা কি করে টিকে থাকব ? সবই বড় বড় ঋণখেলাপীদের করায়ত্তে। অর্থনৈতিক বৈষম্যও দূর করতে হবে। এখন সময় অনেক জায়গা স্পর্শ করতে হবে গভীরভাবে। তিনি ১৬ টাকা দিয়ে একটি সিগারেট না কিনে ১০ টাকার এই কারিগরসহ অন্যান্য পত্রিকা কিনতে বলেছেন। যেন আমরা প্রযুক্তি ও জ্ঞানবিজ্ঞানের সুফল ভোগ করতে পারি।’’

বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি (মন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়) প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন – ‘‘লেখকরাই শক্তি, লেখকরাই ইতিহাসের সঠিক প্রচারক। তিনি লেখকদের ভুল ইতিহাস বলা লোকদের থেকে সাবধান থাকার পরামর্শ দেন। সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে, দেশের মানুষকে এগিয়ে নিতে লেখকদের কোন বিকল্প নেই। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে যারা কথা বলেন, ভবিষৎ প্রজন্মকেও ঐ শ্রেণী থেকে দুরে থাকার পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন; লেখকরা কলম সৈনিক। শক্তিশালী কলম যোদ্ধা। তলোয়ারের চেয়েও তীক্ষ জ্ঞানের মানুষ হিসেবে উল্লেখ করেন। স্বাধীনতার সংগ্রামেও লেখকদের ভূমিকার কোন তুলনা হয় ন। স্বাধীন বাংলা বেতারেও কন্ঠ দিয়ে শিল্পী-লেখকরা দেশসেবা করেছেন। পাঠ্যসূচীতে কারিগরী শিক্ষা নিয়ে আসতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনাও অংগীকারবদ্ধ ছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে পাঠ্যসূচীর আজও পরিবর্তন হয়নি। সুতরাং আমাদের এখন প্রয়োজন জবাবদিহিতা মূলক সঠিক দিক নির্দেশনা।’

অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ( সাবেক উপার্য, ঢাবি, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা) দ্বিতীয় পর্বের বিশেষ অতিথির ভাষণে বলেন – ‘‘গণমাধ্যম দেশকে তথ্যগত সমৃদ্ধিতে সহযোগিতা করছে। অনেকেই অনেক পত্রিকা শুরু করে। কোনটা আবার টিকেও থাকে না। কিন্তু কারিগর ৫০ বছর ধরে পাঠকপ্রিয়তা যেভাবে ধরে রেখেছে। তা অসামান্য ও নজীরবিহীন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কারিগরী জ্ঞান দেশ এগিয়ে নেয়। জাতির জনকের ড. কুদরত ই খুদা শিক্ষা কমিশনের কথা উল্লেক করে তিনি বলেন, সেখানে ২৫০ টি সুপারিশ ছিল। যার ভেতর উল্লেখযোগ্য বিষয়টিই ছিল বৃত্তিমূলক কারিগরী শিক্ষাকে সম্প্রসারণ। কিন্তু ১৯৭৫ থেকে ২০১০ পর্যন্ত সুদীর্ঘ সময় কারিগরী শিক্ষাটা মুখে মুখে থাকলেও সেভাবে পূর্ণবিন্যাস হয়নি। শিক্ষাকে তিনি চোখের সাথে তুলনা করেন। যেখানে শিক্ষা নাই চোখ আছে, সেখানে শিক্ষার আলো ছড়াবে না। ৪ বছর ব্যাপী ডিপ্লোমা কোর্স এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও এখন উচ্চ শিক্ষা কোর্স চালু আছে। সব শিক্ষার আলো নিয়ে আমাদের বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পৌঁছাতে হবে। ১৯৭৫ সালে চীন এর অর্থনৈতিক অবস্থা কী আমাদের দেশ থেকে ভালো ছিলো ? এই মালযেশিয়া কি ছিল ? নিজের একটি অভিজ্ঞতার কথাও তিনি বলেন এভাবে, আমরা প্রকৃত মেধাবীদের চিনতে পারি না বলেই আমরা দিন দিন পিছিয়ে পড়ছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের একছাত্র এদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চেয়েছিলো। কিন্তু কোন কারণে সে তা হতে পারেনি। সে কি ব্যর্থ ? না, আমি তাকে বলি, তুমি বাইরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করো। সেই ছেলেই একদিন সুযোগ পায় আমেরিকার ‘নাসা’তে। সব বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে, গরীবের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। অনেকে সৎ হবে বলে যায়। কিন্তু অর্থোপার্জনের মোহ আমাদের অসৎ করে তোলে। আমরা পথচলা অব্যহত রাখব। তবেইে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবো। ’’

কারিগরের পক্ষ থেকে তিনজন অভিভাবক ব্যক্তিত্ব লেখকদের উদ্দেশ্যে নিজ নিজ বক্তব্য পেশ করেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইদরীস আলী ( নির্বাহী সম্পাদক, কারিগর এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, আইডিইবি) ‘‘ কারিগর মুখপত্রটির ৫০ বছরের যে গর্ব, সেটার কোন তুলনা হয় না। ১৩৭৯ বঙ্গাব্দ,আশ্বিন মাসে, ইংরেজী ১৯৭২ সালের সেপ্টেম্বর মুখপত্রটি ট্যাবলয়েড আকারে ছিল। চলেছে একটানা আট বছর। ১৯৮১ সালে কারিগর ম্যাগাজিনের পূর্ণতা পায়। এজন্য নাট্যজন মামুনুর রশিদের কাছে কারিগর কৃতজ্ঞ। উনিও কারিগরের ভারপ্রাপ্ত হিসেবেও এই পরিবারের সাথে যুক্ত ছিলেন।  বিজ্ঞান মনস্ক পাঠক তৈরিতে কাজ করে কারিগর। আমরা লেখকদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবণ বিষয় নিয়ে লেখার আহবান জানাই। যারা কারিগর’র লেখক, আজ যারা সম্মেলন করছেন, সবার অংশগ্রহণে আমরাও আজ আপ্লুত। বর্তমানে দেশে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান নির্ভর লেখকের খুব সংকট। তারপরও আমরা আনন্দিত যে, কারিগরের অনেক লেখাই ইদানীং অনেক গবেষক আমাদের লেখকদের লেখা সংগ্রহ করেন। গবেষণায় তথ্য ও উপাত্ত হিসেবেও উপকার করছে আমাদের লেখকবৃন্দের মূল্যবান লেখা। আমরা দৈনিক সংবাদের কর্ণধার, জনাব আহমদুল কবীরের কাছেও কৃতজ্ঞ, তিনিই প্রথম উনার দৈনিক সংবাদে বিজ্ঞান পাতার আয়োজন করেন। যা আজকের আপনাদের মত লেখক পাঠক তৈরিতে বিশেষ অবদান রেখেছে বলে আমি মনে করি। আরও আনন্দের বিষয়। এই মুখপত্রটি সেইভাবে পত্রিকার হকারের কাছে কিংবা স্টলে স্টলে পাওয়া যায় না। তারপরও আমরা গর্বিত, আমাদের কারিগর তৃণমূলেল মৌখ্যম হাতিয়ার হয়ে, সাধারণ পাঠক থেকে শুরু করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। এটা আমাদের লেখকদের জন্যও পরম পাওয়া। দেশের ৬৪ জেলায় কারিগরের ৭১ টি শাখা কমিটি আছে। বিজ্ঞান- প্রযুক্তি ও সমাজ পরিবর্তনের আন্দোলনে লেখকরা শ্রেষ্ঠ লেখা দিয়ে বরাবর আমাদের সহযোগিতা করছেন। আর পাঠকদের কাছে সমাদৃত হচ্ছেন। দেশের বিজ্ঞান বিষয়ক পাঠক ও লেখক সৃষ্টিতে কারিগর প্রকৃতই কারিগর হয়ে টিকে থাকবে সবার হৃদয়ে। সবার ভালোবাসায়। ’’ 

জনাব মোঃ শামসুর রহমান ( সদস্য, সম্পাদনা পরিষদ, কারিগর ও সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, আইডিইবি) –  ‘‘প্রযুক্তি ছাড়া দক্ষ মানব সৃষ্টি অসম্ভব। যারা যত উন্নত কারিগরী বিদ্যায় পারদর্শ, সে জাতি ততো উন্নত। উন্নত বিশ্বে ৪৫-৭৫ শতাংশ মানুষ দক্ষ। তারাই সক্ষম আয়ের দেশ। আজকের সিংগাপুর এক সময় জলাশয় ছাড়া কি ছিলো ? এই বাংলাদেশের চেয়ে গরীব ছিলো। আজ তাদের আয় আকাশচূড়া। প্রযুক্তিগত বিদ্যায় ৪৫% ছাড়িয়ে। আমাদেরও কারিগরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করতে হবে। এখন আমাদের কারিগরী শিক্ষার হার ১৮% কিন্তু ২০৩০ সালে ৩০ % এবং ২০৪০ সালে ৫০% উন্নীত করণে, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ ব্যক্ত করছি। কারিগরী বিষয়ে কারিকুলামে ৬৪০ টি প্রকল্পে স্কুল ও মাদ্রাসাকেও অন্তুর্ভক্ত করার কথা বলা আছে। ২০২৪ সালে  ৩৬০ ঘন্টা ট্রেনিং সেশনের মাধ্যমে স্কিলড্ ডেভলপ করারও প্রস্তাব করা হয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে।  দেশের এখনও ২৭ লাখ ছেলেমেয়ে বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত। ওদের জন্য বিনামূলের ট্রেনিং সেশনের প্রয়োজন। কারিগরী প্রযুক্তি বিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে বেকারদের উদ্যোক্তা উন্নয়নে সহযোগিতা ছাড়া বাংলাদেশকে ধনী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হবে না।’’

পুরো অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন – জনাব এ কে এম এ হামিদ ( সম্পাদক, কারিগর)। লেখকদের উদ্দেশ্যে সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেন – ‘‘সম্পদ মুষ্টিমেয় শ্রেণীর কাছে থাকলে, জাতির উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়। আমাদের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে হবে। কাজ ও কাজের মানুষকে কখনও হেলা করা যাবে না। কাজকে সম্মান করা শিখতে হবে। ভবিষ্যতে ‘কারিগর’ শক্তিশালী একটি প্লাটফর্ম সৃষ্টি করতে চায়। চায় লেখকদের সহযোগিতা। বিজ্ঞ লেখকবৃন্দের আজকের সুপারিশ আমরা গুরুত্বের সাথে দেখব। আগামীতেও আমরা লেখক সম্মেলন করব। আজ থেকে আপনারা আমাদেরই পরিবারের অংশ। আপনাদের নিয়েই লেখক ও পাঠক ফোরামের বিষয়ে আমরা কাজ করব। একসাথে। আপনারাই আপনাদের পরিচিত বলয় থেকে লেখক সৃষ্টি করুন। প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, প্রভৃতি স্থান থেকে জ্ঞান বিজ্ঞান কারিগরী ও প্রযুক্তি বিষয়ক লেখা আপনারাই কারিগরের লেখক হয়ে সংগ্রহ করুন। আর আমরাতো সবসময়ই আছি পাঠক ও লেখক সেবায়। আমরা ভবিষ্যতে নারী লেখকদেরও লেখার আমন্ত্রণ জানাই। এখানে আপনাদেরও সম অধিকার। আপনারাও বিজ্ঞান বিষয়ক ধারায় নিজেদের তৈরি করুন। এগিয়ে নেন এই স্মার্ট বাংলাদেশকে।’’  

সারাদিনের প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন – কবি, প্রকাশক, আবৃত্তিকার ও ‘কারিগর প্রতিবেদক’ জনাব, আমিরুল বাসার।

মুখপত্রটির হাফ সেঞ্চুরী হলো। পেরুলো ৫০ বছর। আগামীর জাগরণে সেঞ্চুরীটা ঠিকই হয়ে যাবে। শতবর্ষও স্পর্শ করার প্রত্যয়ে, এগিয়ে যাবে, পাঠকের ভালোবাসায়। এই নিবেদনেই শেষ হয় কারিগর’ লেখক সম্মেলন ও সম্মাননা প্রদান’। ও একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন।

মারুফ আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি