১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি / বিকাল ৩:২৫

পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন : রক্তাক্ত শীতলকুচি, বুথের বাইরে বাহিনীর গুলিতে নিহত ৪

প্রাণহানি দিয়ে দিন শুরু হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনের। বেলা বাড়তে সেই শীতলকুচিতেই বাড়ল মৃতের সংখ্যা। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে সেখানে আরো ৪ ব্যক্তির প্রাণ গেল। মাথাভাঙা হাসপাতালে তাদের ময়নাতদন্ত চলছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে আরো ৪ ব্যক্তি জখম হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহতরা সকলেই তাদের সমর্থক বলে দাবি তৃণমূলের।

শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে এই ঘটনা ঘটেছে। গোটা ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে কাজ করছে। রাতভর মদ খেয়ে সকালে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন করানোর ভার যাদের কাঁধে, তাদের নির্বিচারে গুলি চালানোর অধিকার কে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জোড়াফুল শিবির।

স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী সংবাদমাধ্যমে বলেন, দলে দলে মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুথের ভিতরে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল, তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল।

গোটা ঘটনায় ‘অ্যাকশন টেকেন’ রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, সিআরপিএফ নয়, গুলি চালিয়েছে সিআইএসএফ।

ভোটে বড় ফ্যাক্টর মোদী, হিন্দুত্ব, বিজেপি-র সংগঠন, মতুয়া: পিকে-র অডিয়ো টেপ ফাঁস
শনিবার সকালে চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে দফায় দফায় শীতলকুচিতে সংঘর্ষ বেধেছে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। সকালে পাঠানটুলি শালবাড়ির ২৮৫ বুথে ভোট দিতে গিয়ে আনন্দ বর্মণ নামের এক ১৮ বছরের কিশোরের মৃত্যু হয়। তার পরিবারের লোকজন নিজেদের বিজেপি সমর্থক বলে দাবি করলেও, আনন্দ কাদের পক্ষে, তা নিয়েও রাজনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়। তার মধ্যেই এই ঘটনা।
সূত্র : আনন্দবাজার