৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি / বিকাল ৫:৫০

ফলোঅন এড়াতে পারল না বাংলাদেশ

পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে ফলোঅন এড়াতে পারল না বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার করা ৪৫৩ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ২১৭ রানেই অলআউট হয় টাইগাররা। মাত্র ৩৬ রানের জন্য ফলোঅন এড়াতে পারেনি মুমিনুল হকরা।

ইনিংসের প্রথম ওভারে উইকেট হারানো বাংলাদেশ এরপর তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্তর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করে ৭৯ রান। এরপর মাত্র ৪০ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়ে যায় টাইগাররা।

রোববার তৃতীয় দিনে আগের করা ১৩৯/৫ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। দিনের শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করে যান মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলী। তাদের অনবদ্য জুটিতে একটা সময়ে মনে হয়েছিল ফলোঅন এড়িয়ে যাবে টাইগাররা। ষষ্ঠ উইকেটে তারা গড়েন ৭০ রানের জুটি। 

এরপর আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়। শেষ দিকে মাত্র ২৫ রানে ৫ উইকেট পড়ে গেলে ২১৭ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ে যায় টাইগাররা। 

ডারবান টেস্টে হেরে যাওয়া বাংলাদেশকে সিরিজ বাঁচাতে হলে চলমান পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে দারুণ খেলতে হবে। এমন সমীকরণের ম্যাচে প্রোটিয়াদের করা ৪৫৩ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমেই প্রথম ওভারে উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে ৭৯ রানের জুটি গড়েন ওপেনার তামিম ইকবাল। এক উইকেটে ৮২ রান করা বাংলাদেশ এরপর মাত্র ৪০ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়ে যায়। 

রোববার তৃতীয় দিনের সকালের সেশনে দারুণ ব্যাটিং করে ফলোঅনের শঙ্কা মুক্ত করার আভাস দিয়েছিলেন মুশফিক-ইয়াসির। কিন্তু দলীয় ১৯২ ও ২১০ রানে ইয়াসির ও মুশফিকের বিদায়ে আবারও ফলোঅনের শঙ্কায় পড়েছে টাইগাররা। 

হাতে আছে মাত্র ৩ উইকেট। ফলোঅন এড়াতে হলে এখনও ৪৩ রান করতে হবে।